বিস্ফোরণের পর আংশিক সচল ক্রিমিয়া সেতু: রাশিয়া
ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর রশদ সরবরাহের প্রধান পথ হিসেবে কের্চ প্রণালীর এই ব্রিজটি ব্যবহার করে আসছিল মস্কো। ১৯ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতুটিকে ইউক্রেনীয় বাহিনীর একটি বড় টার্গেট হিসেবে দেখা হচ্ছিল। শনিবারের (৮ অক্টোবর) বিস্ফোরণে সেতুটির সড়কপথের কিছু অংশ ধসে যায়।
এ ঘটনায় বিস্ফোরণের সময় একটি গাড়িতে থাকা তিন আরোহী নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। ব্রিজে তাদের গাড়ির পাশেই একটি লরিতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল।
রাশিয়া কর্তৃক ক্রিমিয়া দখলের চার বছর পর ২০১৮ সালে কের্চ প্রণালীর ওপর এই সেতুটির উদ্বোধন করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
শনিবার ব্রিজটিতে ঠিক কী কারণে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে সেটি তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তবে একজন বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ বলেছেন, তার ধারণা কোনও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ফলে এমনটা হয়নি। বরং নিচ থেকে কোনও হামলা হয়ে থাকতে পারে। তবে এ ঘটনাকে নাশকতা হিসেবে আখ্যায়িত করে এর জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করছে মস্কো। জরুরিভিত্তিতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
রাশিয়ার জন্য কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেতুটিতে ভয়াবহ এই বিস্ফোরণকে রাশিয়ার জন্য একটি বড় ধাক্কা হিসেবে দেখছেন গ্রিনউইচ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিটাইম সিকিউরিটির অধ্যাপক ক্রিস বেল্লামি। সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘সেতুটি ক্রিমিয়ায় রুশ বাহিনীর জন্য রশদ সরবরাহের একটি গুরুত্বপূর্ণ পথ। এটি শুধু রুশ সেনা ও নৌবাহিনীর সদস্যদের দিয়েই নয়, বরং প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ব্যক্তিগত গার্ড দিয়েও ব্যাপকভাবে সুরক্ষিত ছিল। এটি অবিশ্বাস্যভাবে সফল হামলা। ধরে নিচ্ছি ইউক্রেনই এই হামলা চালিয়েছে।’
টুইটারে দেওয়া পোস্টে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টের দফতরের উপদেষ্টা মিখাইলো পোডোলিয়াক বলেছেন, ‘ক্রিমিয়া সেতু দিয়ে শুরু। অবৈধ সবকিছু ধ্বংস করতে হবে, চুরি যাওয়া সবকিছু ইউক্রেনকে ফেরত দিতে হবে, রাশিয়ার দখলে থাকা সবকিছু তাদের ছাড়তে হবে।’
ফোকাস বাংলা নিউজ
Comments
Post a Comment